যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী সংকটের কারণে একদিনে ৬৬৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ জুন) ফ্লাইট বাতিলের ফলে কয়েক হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়বেন। এয়ারলাইন ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইট অ্যাওয়ারের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার দেশটিতে ৬৬৯টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ এখানেই শেষ হয়নি। ছয় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল ছাড়াও বিলম্বিত হয়েছে অন্তত ৪৩২টি ফ্লাইট।
ডেল্টা এয়ারলাইন্স বাতিল করেছে ১৯২টি ফ্লাইট এবং বিলম্বিত হয়েছে ৮০টি। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স বাতিল করেছে ১১৩টি ফ্লাইট এবং বিলম্বিত তালিকাভুক্ত রয়েছে ৪৩টি। আমেরিকান এয়ারলাইন্স বাতিল করেছে ৫১টি এবং বিলম্বিত ৭২টি ফ্লাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল খাত গ্রীষ্মের শুরু থেকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে কর্মী স্বল্পতার কারণে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সগুলো।
মহামারিতে বিমান যাতায়াত কমে আসার কারণে বিভিন্ন কোম্পানি অনেক কর্মী ছাঁটাই করেছিল। কিন্তু এখন চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী স্বল্পতায় ভুগতে শুরু করেছে এয়ারলাইন্সগুলো।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভ্রমণ সম্পাদক অ্যামি ভিরশাপ বলেন, সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো কোম্পানিগুলোর সামর্থ নেই। পাইলট, টিএসএ, চেকপয়েন্ট, এয়ারপোর্টের ভেন্ডর, ব্যাগেজ হ্যান্ডলার, গ্রাউন্ড স্টাফ বা ফ্লাইট অ্যাটেন্টডেন্টসের সংখ্যা প্রয়োজন অনুসারে বাড়াতে পারেনি। কর্মী নিয়োগেও তারা জটিলতায় পড়ছে।
আসন্ন ৪ জুলাইয়ের ছুটির দিনে ফ্লাইট জটিলতা আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিয়েগ এয়ারলাইন্সগুলোকে আরও কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।